বুধবার হোয়াইট হাউস ইরানকে ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রকাশ্যে চাপ দিয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্য একটি চুক্তি সম্পন্ন না হলে আগের চুক্তিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে না।
হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জেন সাকি সাংবাদিকদের বলেন, “সব পক্ষের মূল উদবেগগুলো দৃশ্যমান রয়েছে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে এটি যদি সম্পন্ন করা না হয়, তাহলে ইরানের চলমান পারমাণবিক কর্মসূচি জেসিপিওএ-তে আমাদের ফিরে আসা অসম্ভব করে তুলবে।“ জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো জেসিপিওএ।
সাকির মন্তব্য পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বক্তব্যের প্রতিধ্বনি যিনি ৩১ জানুয়ারি সাংবাদিকদের জানান, চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য “আমাদের হাতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ সময় রয়েছে।“
চুক্তিতে বলা আছে, বোমা তৈরির নানান উপাদান পাওয়া যেন কঠিন হয় সে উদ্দেশ্যে ইরান তার কর্মসূচী সীমিত করবে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো ইরানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করবে। ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির অভিযোগ তেহরান প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তিটি ত্যাগ করেছিলেন। তার যুক্তি ছিল, এটি আঞ্চলিক অপশক্তিগুলোর প্রতি ইরানের সমর্থন বন্ধ করতে পারেনি এবং এই চুক্তি পারমাণবিক বিধিনিষেধের ব্যাপারে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা খুব বেশি শিথিল করছে। তিনি পুনরায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করেন যা এক বছর পর ইরানকে পারমাণবিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘনে প্ররোচিত করে।