কানাডার রাজধানীর মেয়র রবিবার সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন। অপরদিকে, কানাডায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার প্রতিবেশির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করতে হবে। কোভিড-১৯ বিষয়ক বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা এখনও অটোয়ার কেন্দ্রস্থল অচল করে রেখেছেন।
মেয়র জিম ওয়াটসন বলেন যে, বিভিন্ন ক্ষেত্র ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টা ঘোষণাটির ফলে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। এমন ঘোষণা শহরটিকে ক্রয় ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করবে। এর ফলে সম্মুখসারির কর্মী ও প্রাথমিক সেবাদানকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম ক্রয়ে সহায়তা পাওয়া যাবে।
আগের সপ্তাহান্ত থেকেই উপস্থিত শ’খানেক বিক্ষোভকারীর সাথে, এই সপ্তাহান্তে অটোয়াতে আবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হয়। অনবরত গাড়ির হর্নের শব্দ, যান চলাচল ব্যাহত হওয়া ও হয়রানির কারণে অটোয়ার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন। পুলিশ প্রধান বিক্ষোভটিকে পুলিশের পক্ষে সামলানো সম্ভব নয় এমন এক “অবরোধ” হিসেবে আখ্যায়িত করায়, বাসিন্দারা শঙ্কা করছেন যে হয়ত তাদের এই ভোগান্তির আশু কোন সমাধান হবে না।
“ফ্রিডম ট্রাক কনভয়” যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন রিপাবলিকানের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছে। এই সমর্থকদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও রয়েছেন। তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জান্টিন ট্রুডোকে একজন “চরম বামপন্থী পাগল” বলে সম্বোধন করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি (ট্রুডো) “উন্মাদের মত কোভিড বিধিনিষেধ দিয়ে কানাডাকে ধ্বংস করেছেন”।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে দায়িত্বপালনকারী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত, ব্রুস হেইম্যান একটি টুইটে বলেন, “কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক মূলত পদ্ধতিগত সমস্যা সমাধানের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ছিল। দুঃখজনকভাবে বর্তমানে কানাডাকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপ সামলাতে হচ্ছে। ট্রাম্প এবং তার অনুসারীরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই নয়, বরং সকল গণতন্ত্রের জন্যই একটি হুমকি।”।
হেইম্যান বলেন, “কোন অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্রের কোন গোষ্ঠীর কানাডায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী কোন কার্যকলাপে অর্থায়ন করা উচিৎ নয়।”