রবিবার দিনের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া একটি মাঝারী পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। এটি ছিল বিগত চার বছরের বেশি সময়ের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশটির উত্তরের জাগাং প্রদেশ থেকে খাড়া গতিপথে উৎক্ষেপণ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি মাত্র ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেও সর্বোচ্চ ২,০০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
জাপান সরকারও একই ধরণের উপাত্ত প্রদান করেছে। একই সাথে এও জানিয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৩০ মিনিট সময় ধরে উড্ডয়ন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি জাপানও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নজরদারি করে।
প্রদত্ত উপাত্তগুলো একটি “খাড়া উচ্চ গতিপথ” এর প্রতি নির্দেশ করে। এমনভাবে উৎক্ষেপণ করা হলে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর দিয়ে না গিয়েও আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারবে।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করা হলে, এটিই হবে ২০১৭ সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষামূলক সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ২০১৭ সালের সে সময়ে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরম পর্যায়ে ছিল, তখন উত্তর কোরিয়া দুইটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল।
সর্বসাম্প্রতিক এই ঘটনাটিসহ এটি এ মাসে উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা ১১তম ক্ষেপণাস্ত্র, যা কিনা এ পর্যন্ত, এক মাসে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে, এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে, উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।