আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি দেশে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বৃহস্পতিবার বেড়ে ৭০ জনে পৌঁছেছে। জরুরি সাহায্যকারী দলগুলো অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের ও ঝড়ের কবলে পড়া হাজার হাজার মানুষকে সহায়তা করার চেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত রয়েছে ।
প্রবল বৃষ্টি সহকারে মৌসুমী ঝড় আনা, সোমবার মাদাগাস্কারের তটরেখা অতিক্রম করে। এরপর ঝড়টি মোজাম্বিক এবং মালাউই-র উপর দিয়ে বয়ে যায়।
দেশ তিনটির উদ্ধারকর্মী ও কর্তৃপক্ষ তখনও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব নিরূপণের চেষ্টা করছিলেন।
মাদাগাস্কার দেশটিতে ৪১ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছে। অন্যদিকে, মোজাম্বিক ১৮ জন এবং মালাউই’তে ১১ জন নিহত হবার খবর জানায়।
ঝড়টি দুর্বল হয়ে জিম্বাবুয়ের উপর দিয়ে বয়ে যায়, তবে সেখানে কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
সবচেয়ে প্রবলভাবে আক্রান্ত তিনটি দেশে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে কিছু কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়লে, তার নিচে বাসিন্দারা আটকে পড়ে।
পানির তোড়ে কয়েকটি সেতু ভেসে গিয়েছে, গবাদিপশু ডুবে যায় এবং ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যায়। যার ফলে গ্রামীণ পরিবারগুলোর জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মাদাগাস্কারে ১,১০,০০০ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। রাজধানী আনতানানারিভো-তে বিদ্যালয় ও জিমনেসিয়ামগুলোকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়।
উত্তর ও মধ্য মোজাম্বিকে, আনাতে ১০,০০০ ঘর, কয়েক ডজন বিদ্যালয় ও হাসপাতাল ভেঙে পড়ে এবং বৈদ্যুতিক তার বিচ্ছিন্ন হয়।
মোজাম্বিকের আবহাওয়া দপ্তর আগামী দিনগুলোতে ভারত মহাসাগরে আরেকটি ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। মার্চ মাসে বর্ষাকাল শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঐ অঞ্চলে আরও ছয়টি মৌসুমী ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ মালাওই-তে সে দেশের সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার দক্ষিণাংশ, বিশেষ করে মোজাম্বিক, বারংবার ধ্বংসাত্মক ঝড়ের কবলে পড়েছে।