২০১১-র পরমাণু দুর্ঘটনার সময় ফুকুশিমায় বাস করতেন এবং দুর্ঘটনা পরবর্তীকালে থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন- এরকম ছয়জন রোগী মঙ্গলবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। তারা বলেছেন, ফুকুশিমা নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট থেকে নির্গত বিপুল পরিমাণ রেডিয়েশনই তাদের ক্যান্সারের কারণ। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৭ এর মধ্যে। টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস-এর কাছে তারা ৬১৬ মিলিয়ন ইয়েন (৫.৪ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
টোকিও ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করার পর এক সংবাদ সম্মেলনে একজন বাদী এবং আরেকজন বাদীর মা বলেন যে, তারা আশা করেন, আদালত ক্যান্সার এবং প্লান্টের রেডিয়েশনের মধ্যকার পারস্পরিক্ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে। ফুকুশিমা প্রিফেকচারাল সরকার দ্বারা অনুমোদিত একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল উক্ত দাবিকে অস্বীকার করছে।
২৯০ জনেরও বেশি মানুষের থাইরয়েড ক্যান্সার ধরা পড়েছে বা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে যার মধ্যে ২৬৬ জন ফুকুশিমা প্রিফেকচারাল জরিপের অংশ। দুর্ঘটনার সময় ১৮ বা তার কম বয়সী প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার জনের ওপর জরিপ করা হয়। আইনজীবীরা বলেন, প্রতি ১০০,০০০ জনে ৭৭ জনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হার প্রতি মিলিয়নে (সাধারণত) ১ থেকে ২জন আক্রান্ত হবার হারের চেয়ে অনেক বেশি।
দুর্ঘটনার পর সরকারের ইমার্জেন্সি রেসপন্স অত্যন্ত ধীরগতির ছিল। প্লান্টে কী ঘটেছে তা গোপন রাখাতে অনেক জায়গার ইভাকুয়েশনও বিলম্বিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লি থেকে রেডিয়েশন নির্গত হচ্ছিল আর বাসিন্দারা পালাতে গিয়ে গাড়ির ভীড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। যেদিক থেকে রেডিয়েশন নির্গত হচ্ছিল সেদিকে অবস্থিত ইভাকুয়েশন সেন্টারে অনেকে রওনা দেয়।
প্রাক্তন টেপকোর কর্মকর্তাদের ক্রিমিনাল রেস্পন্সিবিলিটি দাবি করা এক মামলায় ২০১৯ সালে টোকিও ডিসট্রিক্ট কোর্ট টেপকোর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে বলে, তাদের পক্ষে আগে থেকে দুর্ঘটনাটি অনুমান করা সম্ভব ছিল না। মামলাটিতে এখন হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে।