বুরকিনা ফাসোর সৈন্যরা দেশটির সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাত বছরব্যাপী যুদ্ধে আরও সম্পদ বরাদ্দের দাবিতে কয়েকটি ব্যারাকে বিদ্রোহ করেছে।
কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে কারফিউ ঘোষণা করেছে। "পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত" এই কারফিউ বলবত থাকবে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রক বলেছে, দরিদ্র স্থলবেষ্টিত দেশটি জুড়ে স্কুলগুলি সোম এবং মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে৷
রবিবার সকালে কয়েকটি সেনা ঘাঁটিতে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে, যা সামরিক অভ্যুত্থানপ্রবণ অশান্ত পশ্চিম আফ্রিকার ঐ দেশে আরেকটি অভ্যুত্থানের আশঙ্কাকে উস্কে দিয়েছে।
এদিকে, জিহাদি হুমকি মোকাবেলায় সরকারের কৌশলের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা শাসক দলের সদর দফতরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কিন্তু সরকার অভ্যুত্থানের গুজব দ্রুত অস্বীকার করেছে এবং বিদ্রোহী সৈন্যদের উপস্থাপিত দাবিগুলির মধ্যে রাষ্ট্রপতি রচ ক্রিশ্চিয়ান কাবোরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে আরো কার্যকর একটি জিহাদ বিরোধী কৌশলের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বুরকিনার প্রতিষ্ঠানগুলিকে "অস্থিতিশীল" করার পরিকল্পনার সন্দেহে একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা সহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করার এক সপ্তাহের কিছু পরে এই অস্থিরতা শুরু হয়।
নিষিদ্ধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার এবং কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তারের একদিন পর এই ঘটনা ঘটলো।