শনিবার তৃতীয় দিনের মত, ইসলামিক স্টেট (আই এস) গোষ্ঠী এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এর আগে, জিহাদিদের আটক রাখা একটি কারাগারে আইএস হামলা চালায়, যাতে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন বলে, একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে।
উত্তরে অবস্থিত শহর হাসাকেহ-এর ঘোয়ারান কারাগারে হামলাটি চালায় আইএস। প্রায় তিন বছর আগে তাদের “খেলাফতের” পরাজয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে, এটিই তাদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রধান, রামি আবদেল রহমান বলেন এই সহিংসতায় “কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ২৮ জন সদস্য, ৫ জন বেসামরিক মানুষ এবং আইএস এর ৪৫ জন সদস্য নিহত হয়েছেন”।
অবজারভেটরি জানায় যে, আইএস বৃহস্পতিবার রাতে ঐ কারাগারে আক্রমণটি চালায়। কারাগারটিতে জিহাদি দলের প্রায় ৩,৫০০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে আটক রাখা হয়েছিল, যাদের মধ্যে তাদের কয়েকজন নেতাও ছিল।
ব্রিটেন ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানায় যে, জিহাদিরা ঐ আটক কেন্দ্র থেকে “তাদের খুঁজে পাওয়া অস্ত্র নিয়ে গেছে”। সংস্থাটি তাদের তথ্যের জন্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় অবস্থিত সুত্রগুলির উপর নির্ভর করে।
ঘটনাটির পর থেকে শত শত জিহাদি বন্দীকে পুনরায় আটক করা হয়েছে। তবে, কয়েক ডজন জিহাদি এখনও পলাতক রয়েছে বলে, অবজারভেটরি জানায়।
তারা আরও বলে যে, আন্তর্জাতিক জোটের সহায়তায় কারাগারটিকে চতুর্দিক থেকে কুর্দি বাহিনী ঘিরে রেখেছিল ।
কুর্দি আয়ত্তাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর মুখপাত্র, ফরহাদ শামি, পরিস্থিতিটিকে “ব্যতিক্রমী” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “কারাগারের উত্তর দিকে লড়াই চলছে”।
শুক্রবার এই জিহাদি গোষ্ঠীটি, তাদের আমাক সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলে যে, কারাগারে তাদের হামলাটির উদ্দেশ্য ছিল “বন্দীদের মুক্ত করা”।