অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ছবিতে মার্টিন লুথার কিং মেমোরিয়াল


কৃষ্ণাঙ্গদের নাগরিক আন্দোলনের নেতা, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯৬৩ সালের ২৮ আগষ্ট ওয়াশিংটন ডিসির যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের আমেরিকার স্বপ্ন দেখেছিলেন, উচ্চারণ করেছিলেন আই হ্যাভ আ ড্রিম, ঠিক সেই জায়গাটির অদূরেই তার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের পাশে পটোম্যাক পার্কে এর অবস্থান এবং এটি চার একর (১.৬ হেক্টর) জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মার্টিন লুথার কিংয়ের ৩০ ফুট উঁচু গ্রানাইটের ভাষ্কর্য নির্মাণ করেন ভাস্কর লেই ইক্সিন। ভাষ্কর্যের নামকরণ করা হয় ‘স্টোন অব হোপ’। কিংয়ের আই হ্যাভ আ ড্রিম বক্তৃতার একটি লাইন ‘Out of the mountain of despair, a stone of hope’, অর্থাৎ হতাশার পাহাড় থেকে আশার পাথর-এই লাইনটির প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নকশা করা হয়। টাইডাল বেসিনের পশ্চিম তীরে, ফ্র্যাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্ট মেমোরিয়ালের কাছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন মেমোরিয়াল ও আব্রাহাম লিংকন মেমোরিয়ালের ঠিক মাঝখানটায় মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ভাষ্কর্য স্থাপিত।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিকল্পনা, তহবিল সংগ্রহ এবং নির্মাণের পর ২০১১ সালের ২২ অগাস্ট স্মৃতিসৌধটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সে সময় লুথার কিংয়ের এই স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচিত হওয়ার কথা থাকলেও, ঘূর্ণিঝড় আইরিনের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়৷ ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সে-সময়কার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্মৃতিস্তম্ভ উন্মাচন করেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৩০ ফুট উঁচু গ্রানাইটের মূর্তিটির দিকে তাকিয়ে স্যালুট জানান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমবেতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "লুথার কিং ছিলেন আমেরিকান জাতির অন্যতম স্থপতি৷ তাই তার স্বপ্ন ও ঐক্যের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না৷ বরং পূর্বসূরীদের সংগ্রাম থেকে আমাদের শক্তি সঞ্চয় করতে হবে৷"

আরও লোড করুন

XS
SM
MD
LG