এই সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধের মহড়াগুলি ইসরাইলকে একটি সতর্কবার্তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। ইরানের পারমাণবিক স্থানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার ইসরাইলের সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
রেভল্যুশনারি গার্ডদের যুদ্ধের মহড়া , যার মধ্যে ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, শুক্রবার তা সম্পন্ন হয়।
গার্ডস প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেছেন, "এই মহড়াগুলির একটি খুব স্পষ্ট এবং গুরুতর বার্তা ছিল। এই বার্তা, ইহুদিবাদী শাসকদের তাদের ভুল থেকে সতর্ক থাকার জন্য এবং এটা তাদের দেয়া হুমকির প্রতি সতর্কবাণী"।
সালামি আরো বলেন, "তারা ভুল পদক্ষেপ নিলে আমরা তাদের হাত কেটে ফেলব... প্রকৃত অভিযান এবং সামরিক মহড়ার মধ্যে দূরত্ব শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কোণ পরিবর্তন,"।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বলেছেন, বিভিন্ন ধরণের ১৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলোকে তা ধ্বংস করেছে।
ইরান বলেছে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০০ কিমি (১২০০ মাইল) এবং এই অঞ্চলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে তা পৌঁছাতে সক্ষম।
তেহরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিশ্ব শক্তির প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে ইসরাইল এবং কূটনীতি ব্যর্থ হলে তারা সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। তবে ইরান বলেছে তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা শান্তিপূর্ণ।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বিশ্ব শক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই বলে যে, ইরানের পরমাণু আলোচনায় ইরান যে কালক্ষেপণ করছে, তা যেন তাদের করতে না দেওয়া হয়, এবং আগামী সোমবার আবার যেন আলোচনা শুরু হয়।
ইসরাইল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ যার পারমাণবিক অস্ত্রাগার আছে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়।