যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল বলেছে যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি "এ অঞ্চলের জন্য একটি গুরুতর হুমকি" এবং ইসরাইলে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং তার ইসরাইলি সমকক্ষ, ইয়াল হুলাতার মধ্যে বৈঠকের পর ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
বুধবার প্রকাশিত হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রতিনিধিদল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, এই অঞ্চলে অস্থিতিশীল কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসী প্রক্সি গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন সহ ইরানের দ্বারা সৃষ্ট হুমকির সমস্ত দিক মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে , "কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ইরান যেন কখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল তাদের সংকল্পে একতাবদ্ধ।"
২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বর্তমানে চলমান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক আলোচনার বিষয়েও সালিভান , হুলাতাকে জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ।
এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দেশটির পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধ করা। ইরান দাবি করে আসছে যে তার পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ।
তবে, ইসরাইল চুক্তিতে ফিরে আসার বিরোধিতা করে।
বৈঠকের পর, ইসরাইলের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে কূটনীতি ভেঙ্গে গেলে, জেরুজালেম পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে ইরানের উপর একটি আগাম হামলা চালাতে পারে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট, সালিভানকেবলেছেন, "ভিয়েনায় যা ঘটছে তা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা এবং আগামী বছরের জন্য ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য গভীর প্রভাব ফেলবে" ।
[এই প্রতিবেদনে কিছু তথ্য এসেছে রয়টার্স থেকে]