মালয়েশিয়ার একটি আদালত বুধবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবিতে বহু বিলিয়ন ডলারের কেলেঙ্কারির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হবার রায় বহাল রেখেছে। এর ফলে তার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের আশা ব্যাহত হলো।
নাজিব গত বছর আস্থা লংঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থ পাচারের জন্য কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের রায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানার শাস্তি পেয়েছিলেন। দূর্নীতির অভিযোগে করা পাঁচটি মামলার মধ্যে এটি ছিল একটি। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছিলেন।
আদালত এই তথ্য পায় যে নাজিব এআরসি ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বেআইনিভাবে পেয়েছিলেন , যা বর্তমানে বিলুপ্ত ওয়ানএমডিবি এর একটি প্রাক্তন ইউনিট। তবে নাজিব কোন রকম অন্যায় করার বিষয়টিকে বার বার অস্বীকার করে আসছেন। ।
বিরোধী আইন প্রণেতা ওং চেন টুইটারে বলেছেন, "এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যার সরাসরি রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের অর্থ হল আগামী বছরের প্রথম দিকে নির্বাচন হলে নাজিব প্রার্থী হতে পারবেন না।"
আপিল আদালতের বিচারক আবদুল করিম আবদুল জলিল বলেছেন, তিনি নাজিবের দোষী সাব্যস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের সঙ্গে একমত।
বিচারক বলেন, “আমরা সাতটি অভিযোগেই আপিল খারিজ করে দিয়েছি এবং সাতটি অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করছি।
নাজিবের আইনজীবী শাফি আবদুল্লাহ আদালতকে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়ার শীর্ষ ট্রাইব্যুনাল, ফেডারেল কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রায়ের পর ডেপুটি প্রসিকিউটর ভি. সীতাম্বরম সংবাদদাতাদের বলেন যে শীর্ষ আদালতে নাজিবের আপিল প্রক্রিয়ায় ৯ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।