দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রধানকে শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয় আলোচনা করছে। বুধবার এক আঞ্চলিক দূত এই বিষয়টি জানান। তিনি বলেন বিবদমান বিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য যে রোডম্যাপে তারা সম্মত হয়েছিল তা বাস্তবায়নে অগ্রগতির না হওয়ায় এই কথাবার্তা হচ্ছে ।এ মাসের শেষের দিকে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মিয়ানমারে নিযুক্ত আসিয়ান ব্লকের বিশেষ দূত এরিওয়ান ইউসফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এপ্রিল মাসে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইষ্ট এশিয়ান নেশনস বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোটভুক্ত সংগঠন আসিয়ানের সঙ্গে সামরিক জান্তা যে পাঁচ দফা পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছিল সে বিষয়ে তারা নিষ্ক্রিয় থেকেছে যা "পিছু হটার সমান"।
মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইংএর নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। এরপর থেকেমিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটিতে যে এক দশক ধরে এক অস্থায়ী গণতন্ত্র ছিল তার অবসান ঘটে এবং দেশটিতে সামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তন করে। এর ফলে দেশে ও বিদেশে মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আসিয়ানের সভাপতি ব্রুনাই-এর দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান বলেছেন, মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য সদস্য দেশ এই বিষয়টি উত্থাপন করার পর ২৬-২৮ অক্টোবর যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে তাতে যেন জান্তাকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ না জানানো হয় যে বিষয়ে ব্লক "গভীরভাবে আলোচনা" করছে।
এরিওয়ান বলেন, "আজ পর্যন্ত পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।"
মিয়ানমারের জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে মিয়ানমার "দেশের সার্বভৌমত্বের সাথে আপোষ না করে" আসিয়ানের সাথে সহযোগিতা করছে।গণতন্ত্রের সমর্থকেরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে আলোচনার কারণে এই আসিয়ান ব্লকের সমালোচনা করে আসছে। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত আইন প্রণেতাদের একটি কমিটি সামরিক জান্তাকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে এবং বলেছে যে আসিয়ানের সম্পৃক্ততা জান্তাকে বৈধতা দিতে পারে।