ইকুয়েডরের একটি কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক চক্রদলগুলো বন্দুক এবং গ্রেনেড নিয়ে লড়াই শুরু করলে দাঙ্গায় কমপক্ষে ১১৮ জন বন্দী নিহত হয় এর এর মাঝে কয়েকজনের শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ঐ কারাগারে নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে।
ইকুয়েডরের কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে কারাগারের ভিতরে এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই। ঐ ঘটনায় আরও ৮৬ জন বন্দী আহত হয়েছে যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
মঙ্গলবার বন্দর শহর গুয়াকুইলের একটি কারাগার চত্বরে মেক্সিকোর মাদক চক্রের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয় এমন বন্দীদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। মেক্সিকোর মাদক চক্রের সাথে প্রধানত জড়িত ছিল সিনালোয়া এবং হালিস্কো নিউ জেনারেশন মাদক চক্র।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ কমান্ডার জেনারেল তানিয়া ভারেলা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে বন্দীদের হাতে “কারাকক্ষ গুলোর নিয়ন্ত্রণ আর নেই।” তিনি আরও বলেন “সবকিছু শান্ত” এবং বন্দীরা এখন সেলে বা গরাদঘেরা ঘরে ফিরে গেছে।
ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের পর কারাগারে শান্ত অবস্থা পুনরায় বহাল করা গেছে। ঐ অভিযানে প্রায় ৯ শ’ কর্মকর্তা এবং কৌশলগত ইউনিটের সদস্যরা অংশ নেয়। নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য এটা একটি "মেগা অপারেশন" অর্থাত্ বিশাল অভিযান ছিল বলে পুলিশ বিভাগ উল্লেখ করেছে।
দাঙ্গার পর ইকুয়েডরের কারাগারের নিয়ন্ত্রণ এখন পুলিশের হাতেকারাগারের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার সেখানে পুলিশ পাঠানো হলে বন্দুকধারী দাঙ্গাকারী বন্দীরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং ঐ ঘটনায় কমপক্ষে দুই জন কর্মকর্তা আহত হন।