তালিবান, আফগান রাজধানী কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সিনিয়র সদস্যদের হাতে, যাদের আল-ক্বায়দাসহ বিদেশী জিহাদি গোষ্ঠীর সাথে দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
পশ্চিমি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন যে এই দায়িত্বটি উদ্বেগজনক এবং এটি তালিবানের দেয়া প্রতিশ্রুতির বিপরীত। কারণ তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তাদের ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের শাসনামলের চেয়ে এবার তাঁরা মধ্যপন্থী পথ বেছে নেবে।
এটি আফগানিস্তানে আল-ক্বায়েদার ফিরে আসার সম্ভাবনাকেও বাড়িয়ে তোলে, তারা আশঙ্কা করছেন, এই সিদ্ধান্ত, গত বছর কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সাথে কুটনৈতিক আলোচনার সময় তালিবান নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে। কারণ সে আলোচনায় তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, আফগানিস্তান আবার বিদেশি জিহাদিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খলিল আল-রহমান হাক্কানিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। তাকে ধরার জন্য, তথ্য প্রদানের জন্য, ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। হাক্কানি জাতিসংঘের সন্ত্রাসীদের তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ব্রিটিশ কূটনীতিক আইভর রবার্টস ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যদের কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া “শিয়ালকে মুরগির খামারের দায়িত্ব দেওয়ার সমতুল্য”।
কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট বা সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী প্রকল্পের সিনিয়র উপদেষ্টা আইভর রবার্টস। কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট হচ্ছে একটি অলাভজনক সংস্থা যা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গবেষণা করে। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপে তিনি বিস্মিত। তিনি আরো বলেন, "আমি জনসংযোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবেছিলাম, তালিবান এর থেকে একটু বেশি বুদ্ধি রাখে”।