চীন ক্রেমলিনের কৌশল অনুসরণ করছে। তারা এখন আমেরিকার ত্রুটিগুলি তুলে ধরতে চাইছে। সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বর্তমান পরিচয়ের রাজনীতি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে অপ-তথ্যের বিশ্লেষকদের ধারনা।
অনেকটা ক্রেমলিন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রুশ প্রচার মাধ্যমের মতো, চীনের অপপ্রচার মাধ্যম এখন আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের বর্ণগত অবিচার এবং আয়ের বৈষম্যের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে আগ্রহী। বিশেষজ্ঞদের মতে এ কৌশল হচ্ছে, বেইজিংয়ের নিজস্ব অধিকার লঙ্ঘন যার মধ্যে দশ লক্ষেরও বেশি জাতিগত মুসলিম উইঘুরদের আটকে রাখা , তা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি চিন্তক গোষ্ঠি আটলান্টিক কাউন্সিলের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, "হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি নির্যাতনের সমালোচনা মোকাবেলায়, চীন, যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশি সহিংসতার ঘটনা তুলে ধরছে।
চিন্তক গোষ্ঠির সর্বসাম্প্রতিক "চীন মিডিয়া বুলেটিন" এর একটি কলামে,
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র, নিউইয়র্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের চীন ও হংকংয়ের গবেষণা পরিচালক সারাহ কুক বলেন যে, বেইজিংয়ের এই চতুর কৌশলগুলি পরিপক্ক এবং আরও পরিশীলিত হয়ে উঠছে।