বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদ'র দাফন নারায়নগঞ্জের সোনারগাও উপজেলার দুধঘাটায় তার নিজ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর সোমবার দিবাগত রাত তিন টার দিকে নিহত পলাশ আহমেদের বাবা পিয়ার জাহান সরদার মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজার্তিক বিমান বন্দরের সিভিল এভিয়েশনের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইন এবং বিমান নিরাপত্তা বিরোধী অপরাধ দমন আইনে পলাশ আহমেদ সহ অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিকে আসামী করে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় কমান্ডো অভিযানে নিহত ওই তরুন বোমা ও অস্ত্রসদৃশ বস্তু নিয়ে বিমানে উঠেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এতে উড্ডয়নরত উড়োজাহাজের ভেতরে সে দুটি পটকা জাতীয় বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে হযরত শাহজালার আর্ন্তজার্তিক বিমান বন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে বিমানটি উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী বিমানের মাঝখান থেকে দৌড় দিয়ে সামনে ককপিটে ঢুকতে চেষ্টা করে এবং তার কাছে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে ধ্বংস করে দেবে বলে বিমানের কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হলে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে জরুরী অবতরণ করে এবং পরে কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইকারী নিহত হয়।