অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

একুশের বিশেষ নিবেদন


একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এ উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশী অধ্যুষিত সবগুলো এলাকায় আয়োজন করা হয় প্রভাত ফেরী, অস্থায়ী শহীদ মিনার, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সহ নানা অনুষ্ঠানমালা।

একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এ উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশী অধ্যুষিত সবগুলো এলাকায় আয়োজন করা হয় প্রভাত ফেরী, অস্থায়ী শহীদ মিনার, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সহ নানা অনুষ্ঠানমালা। একুশের প্রথম প্রহরে নানা স্থানে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। একুশে নিয়ে এখন শুনুন সেলিম হোসেন ও তাহিরা কিবরিয়ার বিশেষ প্রতিবেদন।

কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী তাঁর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতায় বলেন,

"ওরা চল্লিশজন কিংবা আরো বেশি
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে—রমনার রৌদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়ার গাছের তলায়
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য—বাংলার জন্য"

যুক্তরাষ্ট্রে আজ একুশে ফেব্রুয়ারী। সমগ্র বিশ্বের প্রবাসী বাঙ্গালী বাংলা ভাষার জন্যে একুশে ফেব্রুয়ারীর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙ্গালি বাংলাদেশীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছেন মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

কবি আল মাহমুদ লিখে গেছেন,

"ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়?
বরকতের রক্ত"

একুশে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী-আমেরিকানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ছবি আঁকা, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রতিযেগিতা। মহান একুশে আয়োজনে শিশু কিশোররা সাবলিল বাংলায় আবৃত্তি করেন বাংলা কবিতা।

তাদের রং তুলির আঁচড়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, তার প্রকৃতি ও সংস্কৃতি। আমেরিকাসহ বিশ্বের যে প্রান্তেই বসবাস করুক না কেন সব বাঙ্গালীই নিজের সন্তানদেরকে শেখাতে চান বাংলা ভাষা। তাইতো এই আমেরিকায় ভীন্ন ভাষার গন্ডিতে বেড়ে ওঠা প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা চমৎকার বাংলায় বলে ওঠেন বাংলাদেশ, বাংলায় কথা বলি, “একুশে ফ্রেবুয়ারী”, “ভাষার জন্য যুদ্ধ” ইত্যাদি, তখন বাংলা ভাষার গর্বে কার না বুক ফুলে ওঠে।

কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ তাঁর কবিতায় লিখেছেন,

"এ কোন মৃত্যু?কেউ কি দেখেছে মৃত্যু এমন,
শিয়রে যার ওঠে না কান্না, ঝরে না অশ্রু?
হিমালয় থেকে সাগর অবধি সহসা বরং
সকল বেদনা হয়ে ওঠে এক পতাকার রং"

বাংলা ভাষার এমন কোনো কবি সাহিত্যক নেই একুশে নিয়ে কোনো কবিতা বা গল্প লেখেননি। তাদেল লেখায় যে কোনো বাঙ্গালির গা শিউরে ওঠে।

তাইতো শামসুর রাহমানের কবিতায় ভেসে ওঠে;

আমাকেই হত্যা করে ওরা, বায়ান্নোর রৌদ্রময় পথে,

আমাকেই হত্যা করে ওরা
উনসত্তরের বিদ্রোহী প্রহরে,
একাত্তরে পুনরায় হত্যা করে ওরা আমাকেই
আমাকেই হত্যা করে ওরা
পথের কিনারে
এভন্যুর মোড়ে
মিছিলে, সভায়-
আমাকেই হত্যা করে, ওরা হত্যা করে বারবার।
তবে কি আমার
বাংলাদেশ শুধু এক সুবিশাল শহীদ মিনার হ’য়ে যাবে?

বাংলা ভাষার প্রসার বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক। সারা দুনিয়ার যেখানেই থাকুক প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাংলার জয় অব্যহত থাকুক। বাহান্নের একুশের ফেব্রুয়ারী বাংলার জন্য প্রান দেয়া সকল বীর শহীদদের আত্মার শান্তি হোক।

please wait

No media source currently available

0:00 0:12:30 0:00

XS
SM
MD
LG