অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাজশাহীর সীমান্ত এলাকায় গরু-মহিষের জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক


রাজশাহীর সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাড়ীর গরুর গোয়াল। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)
রাজশাহীর সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাড়ীর গরুর গোয়াল। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাতে বাংলাদেশে রাজশাহীর সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু বা মহিষের বাচ্চা জন্ম নিলেই বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে নিবন্ধন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানে কাছে এ নিবন্ধন করতে হয়। নিজের কাছেও রাখতে হয় এ সংক্রান্ত একটি খাতা। খাতায় নিবন্ধনের পুরনো বাধ্যতামূলক এ নিয়ম মূলত সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু-মহিষের অবৈধ চোরাচালান ঠেকাতে করতে হয়।

দেশের সীমান্তবর্তী এ এলাকায় গরু-মহিষের চোরাচালান হয় অনেক। এ কারণে রেজিস্ট্রার খাতায় পুরো ইউনিয়নের গরু মহিষের সংখ্যা সংরক্ষণ করা হয়। একটি বিজিবি ক্যাম্পে থাকে, আরেকটি থাকে ইউনিয়ন পরিষদে। একটি খাতা পশু মালিক রাখেন। কেউ গরু-মহিষ বেচাকেনা করলে এ হিসেব রাখা হয়। এমনকি কারও বাসায় নতুন কোন গরুর জন্ম নিলেও বিজিবি ক্যাম্প ও ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রার খাতায় সংযোজন করতে হয়। কেউ বাইরের গরু-মহিষ কিনে আনলে সেটিও বিজিবি এবং ইউনিয়ন পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। আবার কেউ তার গরু বিক্রি করতে চাইলে তাও জানাতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ তখন ছাড়পত্র দেয়।

আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহ বলেন, "অনেক আগে থেকেই এ নিয়ম চলছে। তবে ২০১৭-১৮ সাল থেকে ব্যাপারটি বেশ কড়াভাবে দেখছে বিজিবি"।

রাজশাহীর বিজিবি অধিনায়ক সাব্বির আহম্মেদ বলেন, গরু-মহিষের জন্য সীমান্তবর্তী বিওপি ক্যাম্পগুলোতে একটি রেজিস্ট্রার খাতা মেনটেইন করা হয়। এটি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ক্যাম্প কমান্ডারদের সমন্বয়ে হয়ে থাকে।

XS
SM
MD
LG