শনিবার চীনের বোমারু ও জঙ্গি বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর বেইজিং এর বিরুদ্ধে তাইওয়ান দ্বীপটির আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট ও বলপ্রয়োগের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার বেইজিং তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের চিহ্ন হিসেবে তাদের জাতীয় দিবসে এ যাবতের সবচেয়ে বৃহৎ আকাশে বিমান চালনার প্রদর্শনীর আয়োজন করে। পারমানবিক সক্ষমতা সম্পন্ন এইচ-৬ বোমারু বিমানসহ ৩৮টি জঙ্গি বিমানের প্রদর্শনী দিয়ে স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপটিকে শক্তির জানান দেয়।
গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের ২ কোটি ২৩ লক্ষ মানুষ সর্বক্ষণ চীনের আক্রমণের হুমকির মাঝে বসবাস করছে।চীন তাইওয়ানকে তার নিজের অঞ্চল হিসেবে গণ্য করে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে একদিন জোর করে হলেও তারা ঐ দ্বীপটিকে দখল করে নেবে।
প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং এর অধীনে প্রায় প্রতিদিনই চীনের যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় অনুপ্রবেশ করছে।
তবে বিশেষত শুক্রবারের অনুপ্রবেশের ঘটনায় তাইপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং সাংবাদিকদের বলেন, “চীন মারমুখো অবস্থান নিয়ে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করছে এবং পীড়াদায়ক চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে গোটা বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও বেশি করে চীনের এই আচরণ প্রত্যাখ্যান করছে”।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, শুক্রবার ২২টি যুদ্ধ বিমান, দুটি বোমারু বিমান এবং একটি সাবমেরিন বিরোধী বিমান দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশসীমা রক্ষা চিহ্নিতকরণ অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রবেশ করলে তারা তাদের বিমান বাহিনীকে তৎক্ষণাৎ সতর্ক করে।
শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় আরেকটি দল যার মধ্যে ছিল ১৩টি যুদ্ধ বিমান, তাইওয়ানের আকাশসীমা রক্ষা চিহ্নিতকরণ অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রবেশ করে ।রাতে সাধারণত তারা অনুপ্রবেশ করে না।মন্ত্রক জানিয়েছে ঐ ঘটনা নিয়ে মোট অনুপ্রবেশের সংখ্যা ৩৮ এ দাঁড়িয়েছে।