করোনা সংক্রমণ রোধে পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকাদান শুরু হয়। প্রথম দিনে ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক। তিনি বলেন, “শিগগিরই সবাইকে আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসব। এখন পর্যন্ত ৯০০ জনের তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমাদের টিকার কোনো সংকট নেই”।
মহাখালী বাস টার্মিনালে সকাল থেকেই টিকাকার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে যান চালক ও শ্রমিকেরা। সকাল ১০টায় শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। কোনো ঝামেলা ছাড়াই অত্যন্ত সহজে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেওয়া হয় টিকা। এতে খুশি শ্রমিকেরা। বাদ পড়া বাকি শ্রমিকদেরও দ্রুত টিকার আওতায় আনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ঝুমানা আশরাফি বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে দেওয়া হবে টিকা। বিআরটিএ এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করা হবে। সারা দেশের পরিবহন চালক-শ্রমিকদের এই টিকা দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “বাস টার্মিনালে আমরা টিকা দিচ্ছি। আসলে এখানে টিকা দেওয়ার পরিবেশ নেই। আমরা মূলত গণপরিবহন শ্রমিকদের টিকাদান কর্মসূচি এখানে শুরু করেছি। ২০০ পরিবহন শ্রমিককে টিকা দেওয়া হবে। এরপর নিকটবর্তী কোনো করোনা টিকাদান কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে আপাতত আজকে ২০০ জনকে টিকা দিয়ে এই ক্যাম্পেইন শেষ হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) থেকে পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা নিয়ে একটি দিন নির্ধারণ করে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।” মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকদের তেজগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি সরকার ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, গণপরিবহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেবা প্রার্থীদের টিকা সনদ নিয়ে যেতে হবে।