অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে দুর্গোৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন


ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু দেবী দুর্গার মূর্তির সামনে ঢাক বাজাচ্ছেন বাদকরা। ৩ অক্টোবর ২০১১। (এপি ফত-পাভেল রহমান)
ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু দেবী দুর্গার মূর্তির সামনে ঢাক বাজাচ্ছেন বাদকরা। ৩ অক্টোবর ২০১১। (এপি ফত-পাভেল রহমান)

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দুর্গোৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আর মাত্র দুই দিন পরই শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু। ১১ অক্টোবর দেবীর বোধন ষষ্ঠিপূজার মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিকতা।প্রতিমায় রংতুলির শেষ কাজটুকু সম্পন্ন করেছেন শিল্পীরা।এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার অনেক মণ্ডপে প্রতিমা বসানো হয়েছে। ঢাকার বাইরেও প্রতিমা বসানোর কাজ শেষের পথে। চলছে আলোকসজ্জা ও অন্যান্য উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরির কাজ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে সবাইকে।মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।রাজধানীর একাধিক পূজা কমিটির সদস্য জানান, প্রবেশ পথে হ্যান্ড সানিটাইজার রাখা থাকবে। কেউ মাস্ক পরে না এলে তাদের প্রবেশপথে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ উৎসবে প্রতি বছরই ব্যাপক আয়োজন থাকে। করোনার কারণে গত বছর দুর্গোৎসব উদযাপিত হয় সীমিত পরিসরে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে এবার আয়োজন গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি থাকছে। এক মাস থেকে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে ঘরে ঘরে।সাধ্যমতো কেনাকাটা করেছেন সবাই। এখন শেষ মুহূর্তের চোখ মণ্ডপের দিকে। অনেক মণ্ডপে আলোকসজ্জা শুরু হয়েছে।

দুর্গোৎসবকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পূজামণ্ডপকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে। পূজামমণ্ডপকে ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে র‌্যাব, পুলিশ। রাস্তায় থাকবে আলাদা করে টহল। পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ জানান, সারা দেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছেন। দুর্গোৎসব পালনে পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করছে।এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG