সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস টেকনোক্র্যাট দিমিতার কোভাচেস্কি উত্তর মেসিডোনিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। টানা দুই মাসের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর রবিবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উত্তর মেসিডোনিয়া সংসদ এই নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে।
এক মাস আগে পৌরসভা নির্বাচনে ভূমিধ্বস পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন আগের প্রধানমন্ত্রী জোরান জায়েভ। দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী কোভাচেস্কি জায়েভের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
নতুন জোট মন্ত্রিসভার নেতৃত্বে রয়েছে কোভাচেস্কির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসডিএসএম) দল পেয়েছে ৬২ জন সংসদ সদস্যের ভোট। ১২০ সদস্যের সংসদে ৪৬ জন সদস্য এসডিএসএমের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
শনিবার সংসদে নিজের এজেন্ডা পেশ করে কোভাচেস্কি বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে “উচ্চতর এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন”।
৪৭ বছর বয়সী এই নেতা দেশটির জ্বালানি সংকট নিরসন এবং দেশটির ইইউ–তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত নভেম্বরে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের আলোচনা শেষে এসডিএসএম সংসদে একটি অনাস্থা প্রস্তাব এড়াতে সক্ষম হয়। তখন থেকে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে আসছিল যে এসডিএসএমের নেতৃত্ব গঠিত সরকার বৈধ নয়। তারা নতুন করে নির্বাচনেরও দাবি করে আসছিল। কোভাচেস্কি ক্ষমতাগ্রহনের পর বলেন নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত ২০২৪ সালেই অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থশাস্ত্রে ডক্টরেট এই নেতা দেশ পরিচালনার বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এখনো সন্দিহান।
বলা হচ্ছে, কোভাচেস্কিকে শাসক জোটের জটিল সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক খাতে ক্রমবর্ধিত দুর্নীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হবে।
তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে উত্তর মেসিডোনিয়াকে ইইউ–তে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া। দেশটির ইইউভুক্তি বুলগেরিয়ার বিরোধিতার কারণে দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে।
গ্রিসের মেসিডোনিয়া রাজ্যের থেকে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতে ২০১৯ সালে দেশটি নামের সঙ্গে “উত্তর” শব্দটি যোগ করে।
নাম পরিবর্তনের পর দেশটি ন্যাটো জোটভুক্ত হয় এবং ইইউভুক্তির পথও সুগম হয়।
দেশটির সঙ্গে প্রতিবেশি বুলগেরিয়ার ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত বিবাদের কারণে বুলগেরিয়া উত্তর মেসিডোনিয়ার ইইউভুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।