আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাবার জন্যে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন বিভিন্ন সীমান্তে।তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেয়ার পর দেশটিতে প্রশাসনিক শুন্যতার মাঝে সেখানে সৃষ্ট মানবিক সঙ্কটে কিভাবে সহায়তা করা যায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক দাতারা
আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা এবং সহায়তাকারী আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। ইসলামপন্থী জঙ্গিরা আফগানিস্তানে ব্যাংক, হাসপাতাল এবং সরকারি কাজকর্ম চালু রাখার উপর নজর দিচ্ছে।
কাবুল বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ায় ভীত সন্ত্রস্ত আফগান নাগরিকেরা ইরান, পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তের দিকে ছুটছেন। তাঁদেরকে সহায়তা করছেন ব্যক্তিগতউদ্যোগে অনেকেই।
খাইবার পাস’এর পূর্ব দিকে পাকিস্তানের তোরখাম সীমান্তে এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, “সীমান্তের আফগানিস্তান অংশে বহু আফগান নাগরিক গেট খোলার জন্যে অপেক্ষা করছেন”।
ইরানের সীমান্ত ইসলাম কালায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
মধ্য আগস্টে তালিবান শহরটি দখল করে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে বিমানে করে কাবুল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশী মানুষ। তবে এখনও হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছেন।
জার্মানির হিসাব অনুযায়ী আফগানিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার হয়ে কাজ করছেন ১০ থেকে ৪০ হাজার আফগান নাগরিক এবং তারা নিরাপদ মনে না করলে জার্মানিতে তাঁদেরকে সরিয়ে আনার অধিকার তাঁদের রয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ ইভস ল্য ড্রায়ন জানিয়েছেন কাবুল বিমানবন্দর কিভাবে চালু রাখা যায় তা নিয়ে কাতার এবং তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে তালিবান কর্তৃপক্ষ তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হতে অনেক সময় লাগতে পারে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে উজবেকিস্তানের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে উজবেক সরকার বলছে বিমান চালু হলে আফগান নাগরিকদেরকে জার্মানিতে যেতে তারা সহায়তা করবে।
যারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চায় তাঁদেরকে নিরাপদে চলে যেতে সহায়তার জন্যে সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক প্রস্তাবে তালিবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তবে ফ্রান্স ও অন্যান্যরা যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির কথা বলেছে সে সম্পর্কে প্রস্তাবে কিছু বলা হয়নি।
যুদ্ধের সময়ে বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকদের জন্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে তালিবান ।
তবে আফগানিস্তান পরিচালনার লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত নতুন সরকার ঘোষণা করেনি তালিবান কিংবা এটাও জানায়নি যে তারা ঠিক কি ভাবে শাসন কাজ চালাবে।