ইউক্রেন বড় ধরণের একটি সাইবার হামলার শিকার হয়েছে, যে কারণে দেশটির নাগরিকদের বলা হয় “আতঙ্কিত হোন এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুন”। অন্যদিকে, ইতোমধ্যেই রাশিয়া তাদের প্রতিবেশি ইউক্রেন-এর সীমান্তে ১,০০,০০০ সৈন্য সমাবেশের ছবি শুক্রবার টেলিভিশনে প্রচার করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে যে, মহড়ার জন্য আরও সেনা মোতায়েন করছে তারা।
ঘটনাটি তখন ঘটল যখন কিনা, রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যকার বৈঠকে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলো আশংকা করছে যে রাশিয়া, ইউক্রেনে আবারও নতুন করে আক্রমণ চালাতে পারে। তারা ২০১৪ সালেও সেই দেশটিকে আক্রমণ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক বলেন, “যুদ্ধের দামামা খুব জোরে শোনা যাচ্ছে”।
ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা রাশিয়া নাকচ করলেও বলে যে, তাদের দাবি মানা না হলে তারা অনুল্লেখিত সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। তাদের দাবির মধ্যে একটি হল কিয়েভ-কে কখনও নেটোতে অন্তর্ভুক্ত না করার অঙ্গীকারের দাবি।
রাশিয়া জানায় যে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে, তাদের দূর-প্রাচ্যের সৈন্যরা দূরবর্তী সামরিক এলাকাগুলোতে মোতায়েনের মহড়া করবে। আরআইএ সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রচারিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ফুটেজে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চালের সামরিক এলাকায় অনেকগুলো সাঁজোয়া যান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ট্রেনে তোলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর একজন সামরিক বিশ্লেষক ও ফেলো, রব লি বলেন, “এটি খুব সম্ভবত সামরিক ইউনিটগুলোকে ইউক্রেনের দিকে নিয়ে আসার একটি ফন্দি”।
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার সতর্ক করে যে, রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের হুমকি অত্যন্ত বেশি। রাশিয়া বরাবরই এমন ধারণা নাকচ করে আসছে।