মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টির প্রধান অং সান সুচির বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার পাঁচটি নতুন দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে দেশটির জান্তা। যে গোপন আদালতে তার বিচারকাজ চলছে, সেই আদালতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মতে এখন সু চির বিরুদ্ধে মোট অপরাধের সংখ্যা ১৬।
রাজধানী নেপিডোর আদালতের সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) মিয়ানমার সার্ভিসকে জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগ এনএলডি সরকারের অধীনে দুর্যোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে হেলিকপ্টার ক্রয় ও ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
সু চির আইনি দল শুক্রবার নতুন অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আবেদন করেছে। আদালত বলেছে, আগামী ২১ জানুয়ারি ওই অনুরোধ পর্যালোচনা করা হবে।
গতকাল শুক্রবার শুনানির সময়, আদালত ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের অডিটর জেনারেল খিন মার চোর সাক্ষ্য শুনেছে। জান্তা সরকারের আইনজীবীরা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলার জন্য তাকে উপস্থাপন করে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, আদালত সু চিকে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি রাখার জন্য এবং কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য চার বছরের কারাদণ্ড দেয়।রুদ্ধদ্বার আইনি কার্যক্রমে তার ওপর আরোপিত কারাদণ্ড মোট সময় ছয় বছরে উন্নীত হয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর সু চি এবং উইন মিন্ট সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার জন্য দুই বছর এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড পান। এই সাজা জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং দুই বছর কমিয়ে দেন।
যে দুটি মামলার বিচার হচ্ছে সে বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার আইনজীবীদের তথ্য প্রকাশ বা প্রকাশ্যে কথা বলার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা গত অক্টোবর থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
সুচি তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার সমর্থক, অধিকার গোষ্ঠী এবং বিদেশি সরকারগুলো এটি একটি রাজনৈতিক চাল বলে নিন্দা করেছে।
২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পরপরই সু চি এবং উইন মিন্টকে সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার করে এবং এর মাধ্যমে এনএলডি সরকারের পতন ঘটে।