শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার বিষয়ে, বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ২০১০ সালের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ।এই রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের ডাকা সংবাদদাতা আমির খসরু জানালেন :
রিপোর্টটিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে এ্যামনেস্টির বক্তব্য নিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের সঙ্গে কথা বললেন যুক্তরাষ্ট্রে সংস্থার এশিয়া বিষয়ে পরিচালক টি কুমার । বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে তাঁরা র্যাব বাহিনীর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা লক্ষ্য করেছেন । বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও তার কোন পরিবর্তন হয় নি । তারা র্যাব কর্তৃক অন্ততঃ পনেরো শ লোককে বিণা কারণে আটক করার ঘটনা নথিবদ্ধ করেছেন । তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয় । বেশ কয়েকজন তাদের হেফাজতে মারা গেছে । র্যাব বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে । তাই মূল কথা হলো, বাংলাদেশ সরকারকে র্যাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে করে র্যাব উপলব্ধি করে যে তারা তাদের ইচ্ছেমতো যে কোন লোককে আটক করতে বা মেরে ফেলতে না পারে। সেই এখতিয়ার তাদের নেই’ ।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানে তারা মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনই পরিবর্তন দেখতে পান নি ।
‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির মোটেও উন্নতি হয়নি । পাকিস্তানে নারীর ওপর হানাহানি অব্যাহত রয়েছে । যথেচ্ছা হত্যাকাণ্ড চলছে, সেইসঙ্গে তালেবানরাও অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে । পুলিশ লোকজনকে আটক করে রাখছে তা ছাড়া লোকজন নিখোঁজ হয়ে যায়, যাদের কোনই সন্ধান পাওয়া যায় না । এইসব ঘটনা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক’ ।
ভারতের অনেক জায়গাতেই সমস্যা রয়েছে । সে প্রসঙ্গে টি কুমার বললেন ভারতে, কাশ্মীর ও উত্তর পশ্চিমের সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি, গভীর উদ্বেগের বিষয় ওই সব অঞ্চলে বিশেষ আইনের অধীনে সামরিক বাহিনীর যা ইচ্ছে তাই করতে পারে । ভারতের অন্যান্য অনেক জায়গাতেই কোন ন্যায় বিচার হয় না । যেমন গুজরাতে এখনও অনেক অন্যায়ের বিচার হয়নি’ ।
এ্যামনেস্টির ভাষ্যে ঠাণ্ডা লড়াই যুগের মত বর্তমানে অনেক দেশে স্বৈরশাসক গোষ্ঠি দমন অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষের আন্দোলন রোধ করার চেষ্টা করে চলেছে । তারা ইন্টারনেট ও মোবাইল টেলিফোনের সুবিধা কেড়ে নিতে চায় । এইসব ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশের সমর্থন প্রয়োজন ।