অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত


এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত।

জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে এবং কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন বাড়াতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। শুক্রবার (৩ মে) ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেট সলিউশন) ভার্গব দাশগুপ্ত।

“আমরা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। খুব প্রভাব বিস্তারকারী, খুব কার্যকরী এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাই;” বলেন ভার্গব দাশগুপ্ত।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চলমান দায়িত্ব নিয়েছেন ভার্গব দাশগুপ্ত । তিনি জানান যে জ্বালানির উৎসের বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশের অনেক আগ্রহ রয়েছে। “কিভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি;” তিনি আরো বলেন।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসার ক্ষমতায়ন ও বিনিয়োগ উন্মুক্ত করার জন্য এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারের অগ্রগতিতে সহায়তা করার লক্ষ্য নিয়ে এডিবির বেসরকারি খাতের কার্যক্রম সাজানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ভার্গব দাশগুপ্ত।

তিনি আরো জানান যে গ্রাহকদের উদ্ভাবনমূলক সমাধান দেয়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সমতার মতো জটিল উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এডিবি।

দাশগুপ্ত এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস ডিপার্টমেন্ট ও অফিস অফ মার্কেটস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এডিবি এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলোর জন্য অন্যতম 'সম্মানিত ও বিশ্বস্ত' অংশীদার।

ভার্গব দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা সব সময়ের মতো ভালো কাজগুলো অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।” এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এডিবি বেসরকারি খাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। আর, এই ভূমিকা আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

এডিবি ২০২১ সালে তাদের জলবায়ু অর্থায়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ ২০১৯ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলো। এর মধ্যে, ক্রমবর্ধমান অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য ৩, ৪০০ কোটি ডলার এবং ক্রমবর্ধমান প্রশমন প্রক্রিয়ায় ৬, ৬০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়।

এডিবি ২০৩০ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে জলবায়ু অর্থায়নে ১,২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে টেকসই ও জলবায়ুবান্ধব ব্যবসা বিকাশে সহায়তা করতে অতিরিক্ত ১,৮০০ থেকে ৩,০০০ কোটি ডলার জমা করতে চায়।

২০২২ সালে এডিবি নিজস্ব সম্পদ থেকে ৬৭০ কোটি ডলার জলবায়ু অর্থায়নে দিয়েছে। এর মধ্যে ২৭০ কোটি ডলার অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতা এবং ৪০০ কোটি ডলার প্রশমন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে দেয়া হয়েছে।

এডিবির কর্মকর্তা ভার্গব দাশগুপ্ত জানান, তাদের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নেট জিরো লক্ষ্য অর্জনে এশিয়ায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

বেসরকারি খাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পাবনায় সোলার ফটোভোল্টাইক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এডিবি গত মাসে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি অর্থায়ন প্রকল্প সই করেছে।

XS
SM
MD
LG