সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বলেন, “কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়।” যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিষ্ঠান, নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রতিনিধিদের এ কথা বলেন তিনি।
নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (১মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশ নেন।
নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস ৪৬ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন। এতে ছিলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশ নেয়া ২৮টি দেশের প্রতিনিধি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ডে (জিসিইআরএফ) তার দেশের অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করেন।
সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সব দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়।
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি প্রতিনিধি দলকে বলেন, যদি সমস্যাটি আরো দীর্ঘায়িত হয়, তবে এটি সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে দেয়া বক্তৃতায় ড. আব্বাস বলেন, সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসাযোগ্য।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
ড. আব্বাস বলেন, তার প্রতিষ্ঠান (নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরো সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।
