অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শেখ হাসিনার প্রশ্ন: ‘বামপন্থীরা আমাকে হটিয়ে কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়?’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বামপন্থী দলগুলোর উদ্দেশে প্রশ্ন করেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়।

তিনি বলেন, “বামপন্থীরা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। কিন্তু তারা কি নির্ধারণ করতে পারবে এরপর কে আসবে? এটা আমার প্রশ্ন। কে ক্ষমতায় আসবে আর কে দেশের জন্য কাজ করবে? কিন্তু তারা কাকে আনতে চায় তা স্পষ্ট নয়।”

বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, “বামপন্থীরা কাকে পরবর্তীতে ক্ষমতায় আনতে চায় তা যেহেতু পরিষ্কার নয়, তাই তারা কেউই জনগণের কাছ থেকে সাড়া পান না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “হ্যাঁ, আন্দোলন চলছে। পলাতক হয়ে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে কেউ আন্দোলন করছে এবং তাঁর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে প্রতিদিন অনলাইনে নানা নির্দেশ দিচ্ছে। … যারা আন্দোলন করছে, তাদের করতে দিন। আমরা অন্তত এতে বাধা দিচ্ছি না।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, চলমান উপজেলা নির্বাচনকে অর্থবহ করাই তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। কারণ তাদের নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, “কেন তারা নির্বাচন বর্জন করে? এর কারণ হচ্ছে তাদের আসলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা নেই।”

অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা ও আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে থাইল্যান্ড সফর ফলপ্রসূ হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে বাংলাদেশের বিশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে তাঁর সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে।

তিনি বলেন, “সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে এ সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

শেখ হাসিনা বলেন, থাইল্যান্ডে তাঁর সরকারি সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, “এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র থাইল্যান্ডে সরকার প্রধান হিসেবে তাঁর সরকারি সফর অত্যন্ত তাৎর্পযর্পূণ।

তিনি বলেন, “সফর দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে।”

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’–এর প্রার্থীতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা থাইল্যান্ডকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি থাইল্যান্ড সফর করেন। ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন তিনি।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড যান।

XS
SM
MD
LG